উপর্যুক্ত বিষয়ে আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, নিম্ন স্বাক্ষরকারী কর্তৃক অদ্য ২৯/০৫/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ বেলা ১২.৪০ ঘটিকায় ওএমএস ডিলার জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন এর বিক্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে মাস্টাররোল অনুযায়ী উক্ত দিনের জন্য নির্ধারিত ০১ মেট্রিক টন আটা বিক্রয়কৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তদানুযায়ী বাস্তব মজুদ সঠিক পাওয়া যায়। চাল বিক্রয়ের মাস্টার রোল পরীক্ষান্তে দেখা যায়, বরাদ্দকৃত ২০০ জন গ্রাহকের মাঝে ১৫৯ জন গ্রাহকের নাম লিপিবদ্ধ থাকলেও শুধুমাত্র ১৩১ জন লিপিবদ্ধ গ্রাহকের নামের বিপরীতে হাতের আঙ্গুলের ছাপ পাওয়া যায় অর্থাৎ ২৪ জন গ্রাহকের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিক্রয় না করেই অসৎ উদ্দেশ্যে চাল আত্নসাত করার জন্য ভুয়া নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং তদানুযায়ী অবশিষ্ট চাল মজুদ রেখেছেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, আপনি ওএমএস নীতিমালা ভঙ্গ করেছেন এবং চাল বিক্রয়ে অসুদপায় অবলম্বন করেছেন। আপনার এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য ওএমএস নীতিমালা ২০১৫ এর ১২(খ) অনুযায়ী ২৮ জন অতিরিক্ত ভোক্তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য (২৮ জন x ৫ কেজি = ১৪০) কেজি চালের অর্থনৈতিক মূল্যের দ্বিগুণ হিসেবে {(১৪০ x ৫২.৪৭২৯১৮ x ২= ১৪,৬৯২.৪১/-) – (১৪০ x ২৮=৩,৯২০/-)}= ১০,৭৭৩/- টাকা অনতিবিলম্বে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল। জরিমানা প্রদান না করা ব্যতীত উক্ত কেন্দ্রে বিক্রয় কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বারিত থাকবে। পরিদর্শনকালে সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক আশিক মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
জরিমানার অর্থ জরিমানা ও দন্ড কোডে চালানের মাধ্যমে যে কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা দিয়ে চালানের মূল কপি নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে জমা প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হল। পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে ডিলারশীপ বাতিল সহ অধিকতর কঠোর দণ্ডারোপ করা হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস